বিশ্ব রেকর্ডের পথে অনলাইন উদ্যোক্তা প্লাটফর্ম নিজের বলা মতো গল্প ফাউন্ডেশন
ধর্মীয় অনুশাসন মেনেই নারীরা পরিচিত হচ্ছেন নিজ নামে। ঘরে তৈরি পোশাক, খাবার সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন বিশ্বের ২৮টি দেশে। প্রযুক্তি পণ্য ও সাইবার সুরক্ষার সল্যুশনও দিচ্ছেন অনেক তরুণ। পণ্য নয় তারা বিক্রি করছেন বিশ্বাস। ব্যবসায়ী নয় প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছেন মানবিক মানুষ হতে। শুন্যতা আর হতাশা কাটিয়ে প্রতিষ্ঠিত ঢাকার ১১টি অঞ্চলের সফল উদ্যোক্তারা শোনালেন নিজেদের সফলতার গল্প।
এরা সবাই নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নেয়া উদ্যোক্তা। নিজে সফল স্বেচ্ছাসেবী হয়ে এখনও রয়েছেন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে। স্বেচ্ছা সেবার মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে চলার এই দীক্ষা পেয়েছেন মানবিক ব্যবসীদের আইকন খ্যাত ইকবাল বাহার জাহিদ। প্রযুক্তির শক্তিতে তার হার না মানা নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠার সাড়ে ৫ বছরে ব্যবসায়ের দীক্ষা পেয়েছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার তরুণ-তরুণী। শনিবার রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজারের টিসিবি মিলনায়তনের সম্মেলন কেন্দ্রে বিনামূল্যে নিরবিচ্ছিন্ন উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের দুই হাজার তম দিবস পালন করলেন প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সফল উদ্যোক্তারা। প্রশিক্ষণ নিয়ে সফল লক্ষাধিক উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রবসীরাও।
হ্যালো ঢাকার উদ্যোগের মতো বিশ্বরেকর্ড করতে যাওয়া এই মাইলফলকটি উদযাপন করা হলো দেশের ৬৪টি জেলাসহ বিশ্বের ২৮টি দেশে। উদ্যোক্তাদের মুখে তাই ইকবাল বাহার ‘কিংবদন্তী’ হয়ে।
অনুষ্ঠানে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি নিজেদের তৈরি পোশাক ও খাদ্য সামগ্রি নিয়ে একটি নান্দনিক ফ্যাশন শো প্রর্দশন করেন ১০ নারী উদ্যোক্তা । এরপর ইকবাল বাহারের মাথায় পড়িয়ে দেয়া হয় রাজার মুকুট।
সবার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে উদ্যোক্তা গড়ার এই কারিগর জানালেন, এটাই তার জীবনের সবচেয় বড় বিনোদন। এই স্বেচ্ছা সেবায় রাতে ভালো ঘুম হয়।
সদস্যদের টাকাতেই সদস্যদের জন্য কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রকল্প, এবং তাদের পরবর্তী ধাপের দক্ষতা উন্নয়ন নিয়েও কথা বলেন ইকবাল বাহার।
কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের কারণে ৪ লাখ সদস্যের ফেসবুক গ্রুপ ৫দিন যাবত বন্ধ থাকায় সদস্যদের দুঃখ না পওয়ার আহ্বান জানিয়ে আবার ফিরে পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মানবিক উদ্যোক্তা তৈরির কারিগর ইকবাল বাহার। এই প্রতিশ্রুতি পূরণকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে বিশ্বের প্রথম এফ কমার্স থেকে ই-কমার্সে নাম লেখানোর পরিকল্পনা তুলে ধরেন তারই এক অনুজ, ডিজিটাল গুরু’র প্রতিষ্ঠাতা ইরফানুজ্জামান নিরব।
অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তারা ছাড়াও নিজের বলার মতো ফাউন্ডেশনের শুভাকাঙ্খীরা বক্তব্য রাখেন। এদের মধ্যে ছিলেন, টেলিভিশন উপস্থাপক, সাংবাদিক, ব্যবাসয়ী ও শৈশবের বন্ধুরা। তাদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধিত করা হয় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে। কেক কেটে উদযাপন করা হয় দিনটি।